ডিভোর্স ও মোটা টাকা আদায়ের চাপ স্ত্রী র , মৃত‍্যু স্বামীর : চাঞ্চল‍্য‍ মন্তেশ্বরে

7th September 2020 8:43 pm বর্ধমান
ডিভোর্স ও মোটা টাকা আদায়ের চাপ স্ত্রী র , মৃত‍্যু  স্বামীর : চাঞ্চল‍্য‍ মন্তেশ্বরে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মন্তেশ্বর ) :  এ যেন এক উলোট পুুরাণ!ডিভোর্স দেওয়ার চাপ দিয়ে স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা আদায়ের চেষ্টা স্ত্রীর!শুধু তাই নয় নিজের মা,বাবা সহ আরো এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দিনের পর দিন স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া।স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ির এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার হুড়কোডাঙ্গার বছর ছাব্বিশের যুবক সবুর মল্লিক।মৃতের পরিবারের এমনিই এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবকের শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করলো মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।ধৃতদের নাম মিরাজ সেখ ও মানসুরা সেখ।তাদের বাড়ি কাটোয়ার রোজো গ্রামে।ধৃতদের কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়।   স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,মন্তেশ্বর থানার হুড়কোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সবুর মল্লিকের সাথে বিয়ে হয় কাটোয়ার রোজো গ্রামের মেয়ে মীরা সেখের।বিয়ের একবছর পর থেকেই বিভিন্নভাবে অশান্তির ঘটনা লেগেই থাকতো।আর তা চরমে পৌঁছালে তা সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত গত ১৭ই আগষ্ট নিজের বাড়ির এলাকায় বিষ খায় সবুর মল্লিক।এরপরেই তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মন্তেশ্বর থেকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন ২৪ শে আগষ্ট ওই যুবক ওই হাসপাতালেই মারা যায়।এরপরেই মৃতের ভাই জামাল মল্লিক মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামেন ও কাটোয়ার রোজো গ্রামের বাসিন্দা মৃতের শ্বশুর মিরাজ সেখ ও শাশুড়ি মানসুরা সেখকে গ্রেপ্তার করেন।এই বিষয়ে মৃতের ভাই জামাল মল্লিকের অভিযোগ,‘বিয়ের একবছর পর থেকেই সবুরের উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাতো তার স্ত্রী,শ্বশুর ও শাশুড়ি।এর সঙ্গে মন্তেশ্বরের মোজাহারনগরের আরো এক ব্যক্তি যুক্ত।সবুরকে ডিভোর্সের চাপ দিয়ে মোটা টাকার দাবি করতো ওর স্ত্রী মীরা।মেরে ফেলার হুমকি সহ আত্মহত্যার প্ররোচনা পর্যন্ত দিতো।এইসব থেকে রেহাই পেতে সবুর প্রশাসনের কাছে যাচ্ছিলো।আর সেইসময়ই তার পথ আটকায় ও বাধা দেয় ওর স্ত্রী,শ্বশুর ও শাশুড়ি।আর সেইকথা যদি সে না শোনে তাহলে সবুরকে তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় ওর স্ত্রী।অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছালে সবুর শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করে।তাই এইরকম একটি ঘটনায় দোষিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’ধৃত শ্বশুর ও শাশুড়িকে সোমবার কালনা আদালতে তোলা হলে তাদের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়।মৃতের স্ত্রী ও মোজাহারনগরের ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।